কাচারী ঘর ও রায়গঞ্জের জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা
কে দালাল আর কে সেবা গ্রহীতা তা ঠাহর করা মুশকিল। গেটের ওপারে চায়ের দোকান। সেখানে জটলা লেগে থাকে। সেখানে ভূমি অফিসের স্টাফদের আনাগোনা চলে।
সেবা গ্রহীতাকে দালাল হতে আলাদা করার প্রয়োজন পড়ে। দুই বছর আগে অষ্টভূজ বিশিষ্ঠ এই বসার ঘরটি তৈরী করি। নাম দেই কাচারী ঘর। ঘরের ভিতর-বাহিরে দৃশ্যমান স্থানে গুরুত্ত্বপুর্ণ ভূমি আইন ও সেবা সম্পর্কিত সিটিজেন চার্টার রয়েছে। একসাথে ৪০ জন বসতে পারে।
অফিস সময়ে কাচারীতে একটি রেজিস্টার থাকে।
নাম "আপনার এসি ল্যান্ড"। সেবা গ্রহীতা সেবা বঞ্চিত হলে রেজিস্টারে লিখে দেন। ভূমি দখল বা অন্য অভিযোগ থাকলেও লেখেন। স্টাফগণ সতর্ক থাকেন। সেবা গ্রহীতার সাথে মানবিক ও দায়িত্ত্বপূর্ণ আচরন করেন।
একদল মানুষ একদল হায়েনার চেয়েও ভয়ংকর যদিনা তাকে সিস্টেমে বেধে রাখা নাহয়। চা খাওয়ার নামে গেটের বাইরে যাওয়া স্টাফদের জন্য নিষিদ্ধ। কাচারী ঘর দালালমুক্ত। চায়ের দোকানে জটলা নেই। রেজিস্টারে সেবা গ্রহীতার সাথে এসি ল্যান্ড/ ইউ এন ও'র সরাসরি যোগাযোগ।
গত দুই বছরে রায়গঞ্জ উপজেলার ভূমিসেবা কাংখিত মাত্রায় জনবান্ধব হয়েছে। এক্ষেত্রে কাচারী ঘর কেন্দ্রীক সেবা প্রদান অনেক মাত্রায় সহায়ক হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মো: সোহেল মারুফ ভূমি সেবাকে জনবান্ধব করতে প্রানান্তকর চেষ্টা করেছেন। আমরা তার শুভ কামনা করি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস